এফিলিয়েট আয়ের আদ্যি-প্রান্ত
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অন্যের পণ্য বা সেবা প্রচার এবং প্রচারণার মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া বা বিক্রি করতে সাহায্য করা এবং সেটা থেকে নির্দিষ্ট হারে কমিশন গ্রহণ করা হচ্ছে একজন মার্কেটারের অ্যাফিলিয়েশন আয়। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটিই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করার যত উপায় আছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে তন্মধ্যে অন্যতম কার্যকরী মাধ্যম। এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠানের পণ্যের প্রচার চালিয়ে আয় করতে পারেন ইন্টারনেট মার্কেটাররা।
নেটওয়ার্কঃ
নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক করে দেয় কোন পণ্য বিক্রি করলে একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার কত কমিশন পাবেন। নেটওয়ার্কে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্ট থাকে যেখানে তাঁরা তাঁদের আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করতে পারে। এছাড়াও নেটওয়ার্ক পাবলিশার এবং উৎপাদনকারীকে নিরাপত্তা দেয়। উৎপাদনকারীর কোন পণ্য বা সেবা যদি কোন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার বিক্রি করে দেয় তাহলে তার প্রাপ্য কমিশন প্রদান করতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বাধ্য থাকবে। অপর দিকে উৎপাদনকারীর পণ্য বা সেবা যাতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার তার নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন মেনে বিক্রি করে সেটার নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। আর এই কাজের জন্য নেটওয়ার্ক উভয় পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট হারে কমিশন রাখে। নিচে জনপ্রিয় কিছু নেটওয়ার্কের নাম দেওয়া হল:
ক্লিকব্যাংক
কমিশন জাংশন
লিংকশেয়ার
আমাজন
শেয়ারএসেল
ওয়ারিয়রপ্লাস
অ্যাফিলিয়েটউইন্ডো
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোন রকেট সাইন্স না যে আপনাকে শিখতে বছরের পর বছর ব্যয় করতে হবে। ভাল ইংরেজি জানলে আর ঠিকমত অধ্যাবসায় করলে ৩ থেকে ৪ মাসের ভিতরেই আপনি দক্ষ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শেখার জন্য যেসব বিষয় আপনাকে শিখেতে হবে তা হল:
সাবলীল ইংরেজি লেখার ক্ষমতা।
ব্লগ তৈরি ও তা রক্ষনাবেক্ষণ জানা।
ব্লগ প্রমোশনের বা মার্কেটিংয়ের জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) শিখতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং জানতে হবে।
ইমেইল মার্কেটিংয়ের দক্ষতা থাকতে হবে।
কিভাবে শিখতে হয়:
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে হলে প্রচুর পড়াশোনা করা দরকার। ইন্টারনেটে সার্চ করে উপরের বিষয়গুলো শিখতে হবে। বিভিন্ন রাইটারের লেখা পড়ে, তাদের পিডিএফ বই পড়ে বা ভিডিও দেখেও আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে পারেন।
No comments