কি কাজ শিখবেন বা করবেন?
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টঃ
স্মাটফোনের পূর্ণ স্বাদ আসে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে। এটি জীবনকে অনেকটা সহজ করে দেয়, মজার করে তোলে।
স্মার্টফোনের ব্যবহার তাই যত বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে অ্যাপ্লিকেশনের বাজারও।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামীর আইটি বাজার হবে মোবাইল ডিভাইস এবং স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন বাজার নির্ভর। প্রতি প্রান্তিকেই স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশনের বাজার বাড়ছে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে।
তথ্যানুযায়ী, তৃতীয় প্রান্তিকে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের চাহিদা বেড়েছে ৮ শতাংশ (কাজের সংখ্যা ৫ হাজার ৫০৯ টি)।
যদিও এই বৃদ্ধি গত প্রান্তিকের তুলনায় কম হয়েছে, আর কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে সেপ্টেম্বর জুড়ে ডেভেলপারদের আইওএস-৬ সংস্করণটির জন্য অপেক্ষা।
বিশেষজ্ঞরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং সামনের বছরগুলোতে জ্যামিতিক হারে বাড়বে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ
ইন্টারনেটের জন্য ওয়েব সাইট তৈরী ওয়েব ডেভেলপমেন্টের একটি অংশ, এর সাথে আরও যোগ করা যেতে পারে ওয়েব সাইটের ডিজাইন এবং সাইটের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যের উন্নয়ন।
ওয়েব সাইট তৈরীতে প্রাথমিকভাবে আমরা ক্লায়েন্ট সাইড কোডিং হিসেবে
১। এইচটিএমএল
২। সিএসএস
৩। জেকোয়ারি
আর সার্ভার সাইড কোডিং এর জন্য
১। পিএইচপি
২। এএসপি
৩। জাভা
৪। পাইথন
৫। রুবি
ব্যবহার করে থাকি।
আর তথ্য সংরক্ষণের জন্য অবশ্যই ডাটাবেস তো থাকছেই। জনপ্রিয় ডাটাবেসগুলোর মধ্যে রয়েছে
১। মাইক্রোসফটের এসকিউএল সার্ভার
২। মাইএসকিউএল
৩। ওরাকল
৪। এসকিউএল লাইট
৫। মনগোডিবি
মার্কেটপ্লেসগুলোতে ওয়েব উন্নয়নের জন্য ক্লায়েন্ট/সার্ভার সাইড এবং ডাটাবেস মিলিয়ে বিভিন্ন ধরণের প্রচুর কাজ পাওয়া যায়।
ওয়েব ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি
ই-কর্মাস
ইউআই ডিজাইন
ওয়েব প্রোগ্রামিং
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
বাগ ফিক্সিং
এর ও অনেক কাজ পাওয়া যায়।
প্রতিদিন চাহিদা বেড়ে চলেছে এমন কিছু পরিসংখ্যান দিই-
তৃতীয় প্রান্তিকে এইচটিএমএল ৫ এর কাজের সংখ্যা বেড়েছে ৪৪ শতাংশ (৩০৩৮ টি কাজের হিসেবে),
জেকোয়ারি- জাভা ক্রিপ্টের একটি লাইব্রেরী যার কাজের পরিমান বেড়েছে ৩২ শতাংশ (২৯৭২ টি কাজের হিসেবে),
জেন্ড এর কো ফাউন্ডার অ্যান্ডি গুটম্যান্স মোবাইলের জন্য সুবিধা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতিতে পিএইচপি’র কাজ বেড়েছে ১৯ শতাংশ (৩৫,০৬১ টি কাজের হিসেবে)।
সিএসএস আর মাইএসকিউএল বরাবরের মতই শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে, যেগুলোতে কাজের পরিমান যথাক্রমে ১৯ শতাংশ এবং ১৮ শতাংশ, ৭০৯৯ এবং ১১০০৭ টি কাজের হিসেবে।
ইন্টারনেট মার্কেটিংঃ
পণ্যসেবা গ্রাহক পর্যন্ত পৌছানোর জন্য যা কিছু করা হয় তাকেই আমরা সহজ ভাষার মার্কেটিং বা বাজারজাতকরণ বলতে পারি।
আরও সহজ ভাষায় বললে একজন মার্কেটার তার পণ্য বিক্রির জন্য যে সকল পন্থা অবলম্বন করেন তাই মার্কেটিং।
ইন্টারনেটে বাজারজাতকরণের বিভিন্ন ধরণ রয়েছে। যেমনঃ
১। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
২। ইমেইল মার্কেটিং
৩। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
৪। মোবাইল মার্কেটিং
৫। ব্যানার মার্কেটিং
৬। ফোরামে আলোচনা
৭। অনলাইন প্রেস রিলিজ
৮। ব্লগ মার্কেটিং
বাজারজাতকরণের অন্যতম পরীক্ষিত উপায়।
ইন্টারনেটে বাজারজাতকরণের বিভিন্ন ধরণ অনুযায়ী অনেক কাজ পাওয়া যায়। গুগলের পান্ডা এবং পেঙ্গুইন আধুনিকায়নের ফলে গত প্রান্তিকের অনিশ্চয়তার বাজারে আবার প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
আস্থা ফিরে আসায় ইন্টারনেট মার্কেটিং এর কাজের পরিমান বেড়েছে। ১৫,৪৭৫ টি কাজের ভিত্তিতে এই হার ১২ শতাংশ। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর বর্ধনশীলতার হার ১২ শতাংশ, ১০৫০৯ টি কাজের হিসাবে। লিংক বিল্ডিং এর কাজ বেড়েছে ৮ শতাংশ, যেখানে কাজের সংখ্যা ৭০৬৮ টি।
গ্রাফি ডিজাইনঃ
অভিনব কিছু করতে চান, আঁকাআঁকিতে বেশী ঝোঁক?
সময় পেলেই কম্পিউটারের পেইন্ট টুলস, ইলাস্ট্রেটর, ফটোশপ দিয়ে মনের ইচ্ছেঘুরি উড়িয়ে নতুন কিছু আঁকতে ভালবাসলে গ্রাফি ডিজাইনার হিসাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারেন।
মুক্ত এবং নিরাপদ পেশা হিসেবে সহজেই এটাকে নেওয়া যেতে পারে। মার্কেটপ্লেসগুলোতে গ্রাফি ডিজাইনের যথেষ্ট কাজ রয়েছে।
পাশাপশি কাজের ক্ষেত্র হতে পারে
ইন্টারঅ্যাক্টিভ মিডিয়া
জার্নাল
প্রমোশনাল ডিসপ্লে
সংবাদপত্র
ম্যাগাজিন
লোগো ডিজাইন
কর্পোরেট রিপোর্টস
মার্কেটিং ব্রোশিয়ার
ওয়েব ডিজাইন
মার্কেটপ্লেসে তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রাফি ডিজাইনে কাজের পরিমান বেড়েছে ২১% (২৭২২১ টি কাজের ভিত্তিতে) আর লোগো ডিজাইনে বেড়েছে ২১% (৬৯৪০ টি কাজের ভিত্তিতে)।
ওয়ার্ডপ্রেসঃ
এটি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিএমএস (কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)।
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে খুব অল্প সময়েই ব্লগ কিংবা কর্পোরেট সাইট বানানো সম্ভব।
মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রচুর পরিমানে ওয়ার্ডপ্রেস এর কাজ পাওয়া যায় এবং প্রতিদিনই এর চাহিদা বেড়ে চলেছে। ৭৭০৩ টি কাজের ভিত্তিতে যার পরিমান ২৭ শতাংশ।
প্রুফরিডিংঃ
প্রুফরিডিং এর কাজ হচ্ছে কোন লেখা প্রকাশের পূর্বে সর্বশেষ পরিমার্জন পরিবর্ধন করা।
একজন প্রুফরিডার বিভিন্ন বিষয়ের উপর কাজ করতে পারেন।
বই
বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক লেখা
ডকুমেন্টেশন
অনুবাদ
ওয়েবসাইট কনটেন্ট
- এসব বিভাগ একজন প্রুফরিডারের কাজের ক্ষেত্র হতে পারে।
বিভিন্ন ছাপানো / অনলাইন পত্রিকা, প্রকাশনা, প্রকাশনা সংস্থায় প্রচুর প্রুফরিডারের চাহিদা রয়েছে। চাহিদার ভিত্তিতে ১৭৩০ টি কাজের হিসাবে প্রুফরিডিং কাজ বেড়েছে ২৬ শতাংশ।
ডাটা এন্ট্রিঃ
কাগজবিহীন সবুজ অফিসের কারণে বিভিন্ন অফিসগুলো তাদের কাগজের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক তথ্যাগার তৈরী করায় ডাটা এন্ট্রির চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
এই প্রান্তিকে ৬৯৩২ টি কাজে ১৪১% হারই সেটা প্রমাণ করে।
No comments