Header Ads

আপনার জন্য রইলো এবার দশটি আয়ের সুযোগ

বাংলাদেশে অনলাইনে আয় রোজগারের সঠিক উপায় বের করা বেশ দূরহ হয়ে পড়েছে, কারন একানে যিনি শিক্ষক, আবার তিনিই ছাত্র। আরেকটু পরিষ্কার ভাবে বলতে গেলে, বিষয়টি ঠিক এরকম, "আমি খুব ভালো গাড়ী চালাতে পারি, তবে গন্তব্যে পৌঁছানোর পথ চিনি না।"
আশাকরি, বুঝতে পেরেছেন।

সুতরাং, আজ আমরা আগে রাস্তা দেখবো এবং চিনবো ; তারপর, জেনে-শুনে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিবো।

মূল আলোচ্যঃ

"ঘরে বসেই বিভিন্ন উপায় অর্থ উপার্জন করুন"

সর্বপ্রথম শতর্কতাঃ
অনলাইনে আয় করা বাস্তব জীবনে আয় করার মতোই কঠিন।

||||||| Nothing is impossible but not even so simple |||||||

এখানে এমন কিছু রাস্তা আছে যেগুলোতে কাজ শুরু করা সহজ। কিন্তু এগুলো থেকে বেশি টাকা আয় করা যায় না।

এর তুলনায় অন্যান্য উপার্জনের পন্থায় ভালো আয়ও হয় আবার তা ধারাবাহিকভাবেও বজায় থাকে।

সুতরাং, একটু মন দিয়ে অর্থ উপার্জনের উপায় সমুহ বুঝে নিন।

||১||  পেইড রিভিউ  ||

পেইড রিভিউ-এর মাধ্যমে আয় রোজগারঃ

সার্ভে বা জরিপ একটা পুরাতন পদ্ধতি আর আমার মনে হয় আপনাদের মধ্যে অনেকেই এ বিষয়ে জানেন।

“সার্ভে” সাইটে গিয়ে সর্বপ্রথম নিবন্ধিত হবেন আর সার্ভে বা জরিপ আসার অপেক্ষা করবেন;

সার্ভে ফর্ম পূরণ করে মতামত জানাবেন, ব্যাস!

প্রতিটি সার্ভের জন্যে আপনি টাকা পাবেন

এখানে, এমন কিছু ব্যবস্থাও আছে যেখানে, ইমেইল পড়ার ও জবাব দেওয়ারও কাজ থাকে। সার্ভে সাইট হিসেবে অন্যতম জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে-সার্ভে সেভী

|| ২ || নিবন্ধ লিখন ||

নিবন্ধ লিখে আয় রোজগারঃ

এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো পাঠকদের লেখায় আপডেট হতে থাকে। কোন কোন সাইটে তারা লেখকদের সাথে মুনাফা ভাগ করে নেয়। আপনারা সেখানে বিভিন্ন নিবন্ধ লিখতে পারেন আর আপনার আর্টিকেল বা নিবন্ধ যতো বেশি পাঠক পড়বে, আপনি ততো বেশি টাকা পাবেন।

“শুভং” নামক একটা ওয়েবসাইট আছে যারা তাদের লেখকদের সাথে শতকরা ১০ ভাগ গুগল এডসেন্স-এর লভ্যাংশও ভাগ করে নেয়।

|| ৩ || পেইড টু ক্লিক || পি টি সি ||

পিটিসি বা প্যাড-টু-ক্লিক এ আয় রোজগারঃ

পিটিসি বা প্যাড-টু-ক্লিক এর সাহায্যে আপনি ওয়েবসাইট(শুধুমাত্র স্পনসরড্ সাইটগুলো‌)ব্রাউজ করার জন্যে টাকা পাবে।

এতে আরো উপায় আছে যাতে ওয়েবসাইট সার্ফ করে, ওয়েবসাইট দেখে আর ওয়েবসাইট সার্চ করে টাকা উপার্জন। সত্যকথা বলতে কি, এই সাইটগুলো আয়ের তুলনায় অনেক বেশী সময় অপচয় করে।

এরা আপনার একেক ইউনিট এডের পেছনে আপনার সময় ব্যয়ের তুলনায় খুবই কম টাকা দেয়। একটা জনপ্রিয় পিটিসি সাইট যারা ভালো অর্থ প্রদানও করে থাকে সেটি হচ্ছে- বাক্স টু।

|| ছবি বিক্রয় ||

আপনার তোলা ছবির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনঃ

যদি আপনি একজন ফটোগ্রাফার বা চিত্রগ্রাহক হয়ে থাকেন, তবে আপনার তোলা আকর্ষণীয় ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।

অনলাইনের ডিজাইনাররা তাদের প্রজেক্টের জন্যে অনেক ছবি খুঁজে থাকেন, আপনি তাদের নিকট আপনার ছবিগুলো বিক্রি করতে পারেন।

আপনি আপনার ছবিগুলো আই-স্টক-ফটোস ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রিও করতে পারেন।

|| ৫ || গুগল এডসেন্স ||

গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় রোজগারঃ

গুগল এডসেন্সে আয় করার জন্যে আপনার একটা সচল ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ প্রয়োজন।

আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন এমন বিলবোর্ড বা পোস্টার, যেখানে তারা(জনৈক অসাধু ব্যবসায়ীরা) দাবি করে যে, আপনি এখন থেকে এর মাধ্যমে ১০ থেকে ২০ ডলার দৈনিক আয় করতে পারবেন- এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা!

গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হয় তখন, যখন, কেউ গুগলের সেসব এডে ক্লিক করে। কিন্তু, এখানে ইনকাম করার পূর্বে আপনাকে একটা তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে।

কিন্তু, আপনাকে সেসব নকল এডসেন্স শেখার জায়গায় এই শেখানো হয় যে, কিভাবে চুরির লেখা দিয়ে একটা নকল ওয়েবসাইট বানাতে হয়, এটাতো আসল নয় কারণ এটা একটা ধোঁকাবাজি।

|| ৬ || মতামত প্রকাশ ||

আপনার মতামত প্রকাশের জন্যে টাকা পাবেন

হ্যাঁ, এটিই নতুন দিনের আয় রোজগার মাধ্যম, এখন আপনি টাকা নিয়ে যেকোন ওয়েবসাইট বা কোম্পানির ব্যাপারে আপনার মতামত দিয়ে একটা নিবন্ধ লিখে ফেলেন আপনার ব্লগে।

পেইড রিভিউ সাইটগুলোর কল্যাণে, এখন তারা(কোম্পানি বা ওয়েবসাইটগুলো) আপনাকে তাদের ব্র্যান্ড, পণ্য বা ওয়েবসাইটের বিষয়ে লেখার জন্যে অর্থ পরিশোধ করবে।

আপনার এই মতামত বা ব্লগ তাদের নিয়ে বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করবে আর তারা পাবে অধিক পাঠক ও ক্রেতা। এরকম একটা জনপ্রিয় পেইড রিভিউ সাইট হচ্ছে-সোস্যাল সম্পর্ক।

|| ৭ || এফিলিয়েট মার্কেটিং ||

এফিলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে আয়ঃ

রোজগার(সেবামূলক গোষ্ঠীর সাহায্য করা)

এটি একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি আপনার  ওয়েবসাইটে কোন পণ্যের প্রচার করবেন আর যখন পণ্য বিক্রি হবে, তখন আপনি এর থেকে কমিশন পাবেন।

এখানে অনেক আধুনিক আর ভালো পণ্য আছে যেগুলো বিক্রি করা যায় আর মানুষ কিনতেও আগ্রহী; আপনি একজন এফিলিয়েট হয়েও কাজ করতে পারেন।

আপনি “ক্লিক ব্যাংক”-এর মাধ্যমে একজন এফিলিয়েট হয়ে পণ্য বিক্রয় করতে পারেন।

|| ৮ || ব্যানার এডস

ব্যানার এডস বিক্রি করে আয় রোজগারঃ

যদি আপনার একটা প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে, তবে বিজ্ঞাপনদাতারা আপনার ব্লগে তাদের বিজ্ঞাপন দিতে দ্বিধাবোধ করবে না।

একেই বলে, ব্যানার এডস অথবা সরাসরি ইনকামের সুযোগ। আপনার ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা যতো বেশি হবে আপনার পাঠক সংখ্যা ততো বেশি হবে আর আয়ও বাড়তে থাকবে।

|| ৯ || ফ্রি-ল্যান্সিং

ফ্রি-ল্যান্সার হয়ে অর্থ উপার্জনঃ

আপনাদের যদি ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা এডমিনিস্ট্রেশন বা তদারকির কাজে দক্ষতা থাকে তাহলে, আপনি অনলাইনে এসব কাজ করে আয় রোজগার করতে পারেন। আপনি চাইলে ফ্রিলেন্সিংভিত্তিক একটা ক্যারিয়ারই গড়ে তুলতে পারেন।

|| ১০ || টুইটার বিজ্ঞাপন ||

টুইটার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করাঃ

বিজ্ঞাপনদাতাগণ বর্তমানে তাদের ক্যাম্পেইন বা বিজ্ঞাপন উদ্যোগগুলো “টুইটার” বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছেন।

এজন্যে, আপনার কোন ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থাকারও প্রয়োজন নেই। এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে, যারা টুইটার বিজ্ঞাপনের কাজ করে থাকে যেমন- মেগ-এ-পাই।

No comments

Powered by Blogger.